ডিসেম্বরে কুমিল্লা জেলার ৬টিসহ কুমিল্লা বিভাগে ২২টি পৌরসভার নির্বাচন

আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই সময়ে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে। প্রায় আড়াইশ’র মতো পৌরসভায় ভোট হতে পারে। এই লক্ষ্যে ইসি সচিবালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে তিনশ’ পৌরসভা রয়েছে। এদের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য পৌরসভাগুলোর ভোট মেয়াদ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর যে পৌরসভাগুলোর ভোট হয়েছিল, তার বেশিরভাগের মেয়র ও কাউন্সিলররা পরের বছর (২০১৬ সাল) জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাসে শপথ নেন। আর ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই হিসেবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের মতো সব পৌরসভার ভোট একদিনে অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভাগুলো সদর এলাকা হওয়ায় ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো হবে। কমিশন সভায় সেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি বাড়লে ইভিএমের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে করোনা সংকট পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা এবং বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ বিবেচনা করে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

কুমিল্লা বিভাগে যে ২২ টি পৌরসভায় ভোটের চিন্তা ইসির:

নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা বিভাগে ২২টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণের চিন্তা করছে। তবে এই সংখ্যা কম বা বেশিও হতে পারে। যেসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হলো, 

কুমিল্লার চান্দিনা, লাকসাম, দাউদকান্দি, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, হোমনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ছেংগারচর, ফরিদগঞ্জ, কচুয়া, মতলব, ফেনী সদর, দাগনভুইঞা, পরশুরাম, নোয়াখালীর বসুরহাট, চৌমুহনী, হাতিয়া, চাটখিল, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, রামগতি, রায়পুর পৌরসভা।

ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর ২৩৪টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ করা হয়। এবারও ওই তালিকা ধরে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি সচিবালয়। ইতোমধ্যে পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, প্রথম সভার তারিখ ও জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণের তারিখ সংগ্রহ করে কমিশনে পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলা থেকে ইসি সচিবালয় এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।

Share this post

PinIt
scroll to top