নাঙ্গলকোটে জাল সনদে সহকারী প্রধান শিক্ষকের চাকুরী তদন্তে দুদক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরী, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক, স্কুলে প্রভাব বিস্তারসহ অভিযোগের যেন অন্তঃ নেই।

এবার বিএডের জাল সাটিফিকেটে চাকুরী নেয়ায় দূর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাৎ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বুধবার এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদ তাকে শোকজ করে ।

এর আগে গত বছরের ২৫ জুলাই ছাত্রীদের সাথে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে টানা তিনদিন বিক্ষোভ করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । এ ঘটনায় তৎকালীন ইউএনও’র আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করে। দলিয় প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যায়।
ওই বছরের মে মাসে স্হানীয় ঢালুয়া বাজারের একটি জুয়েলারী দোকানের পিছনের কক্ষে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, তিনি স্কুলের শিক্ষক,অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ ও প্রভাব বিস্তার করে দাপটে চলেন।

অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের ব্যবহৃত ২ টি মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। অপরটি চালু থাকলে তিনি রিসিভ করেননি, ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন উত্তর না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Share this post

PinIt
scroll to top