মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শফিকুল আলম স্থানীয় সাংসদ সুবিদ আলী ভূইয়ার ছেলে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে বলেন, কারো বাবার ডিও লেটারে মেঘনা উপজেলা হয়নি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্পিকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর সহযোগিতায় এবং স্থানীয় সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মেঘনা উপজেলা বাস্তবায়ন হয়েছে। সুতরাং হুংকার দিয়ে কথা বলবেন না। মেঘনার জনগণ সব পারে, মেঘনার জনগণকে হুংকার দিবেন না।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মেঘনা মুক্তিযোদ্ধা ভবন মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ৪৫তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এমপি পুত্রের সমালোচনা করে সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন আসলে আংকেল হই, আর পাশ করার পর ভুলে যান।সেদিন দাউদকান্দিতে ফেল করে মেঘনার ভোটে জয়লাভ করেন, আর আজকে বলেন মেঘনা আওয়ামী লীগ রাজাকারের বংশধর। হুশিয়ার করে দিচ্ছি, আপনি মেঘনার কেউ না, আমরা চাইলে আপনি আসবেন, মেঘনার মানুষকে সম্মান করে কথা বলবেন, আর না চাইলে মেঘনার মাটিতে পা ফেলতে পারবেন না।
এখানে কোন অনুষ্ঠান হলে কে প্রধান অতিথি আর কে বিশেষ অতিথি হবে আমরা ঠিক করবো , মেঘনা আওয়ামী লীগ ঠিক করবে আপনি কে?
মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এমরান হোসেন আকাশ এর সঞ্চালনায় শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, সিনিয়ার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফ্ফার, জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন শিশির, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ প্রমূখ।