কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর বাজারে স্কুল মার্কেট থেকে ১৮৪ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের মার্কেটে অভিযান চালিয়ে একটি দোকান থেকে ৪টি বস্তায় মোড়ানো বিয়ারগুলোর ক্যান উদ্ধার করেন তিতাস থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো বিল্লাল হোসেন।
তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকলেও পরে বাজার কমিটির সভাপতি আ.বাতেন সরকার রেনু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান বশিরের নির্দেশে তালা ভেঙে মালিকবিহীন বিয়ারগুলো জব্দ করা হয়। পরে অভিযানে যোগ দেন তিতাস থানার ওসি (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম, এসআই মধুসূদন, এসআই সুমন পাটোয়ারী ও এএসআই সারওয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
জানা গেছে, ওমর আলীর চা স্টলের পাশের দোকানটি স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে চাবি নিয়ে কোন প্রকার ডিড ছাড়াই ব্যবহার করছেন উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান চৌধুরী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনসুর আলী মেম্বার।
তারা বলেন, দোকানের চাবি মুজিবুর রহমানের কাছে ছিল আর তিনি দোকানে কি ব্যবসা করতেন সেটি জানি না। রাতে মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি দোকানে আসেননি। ওই সময় তিনি বলেন, আমি দূরে আছি।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ওসি (তদন্ত) মো.সহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যবসার সাথে কারা জড়িত তা তদন্ত সাপেক্ষে খুঁজে বের করা হবে এবং মামলা করা হবে।
কয়েক বছর আগেও স্কুলের পাঠাগারে বিয়ার রেখে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছিল। তখন সংবাপত্রে নিউজ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ও হয়। এবার আবারও প্রমাণিত হলো স্কুলের স্থাপনা ব্যবহার করে মাদকের ব্যবসা চলছে এখানে। তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র এ মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, মাদকের এ চালান আসে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে। মাদকচক্রটি কারা তা সকলে অবগত হলেও এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চাননি। তবে এলাকাবাসী চান মাছিমপুরসহ তিতাস মাদকমুক্ত হোক।
কুমিল্লা-২ (তিতাস হোমনা) আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন সরকার ও তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।