কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ হত্যার প্রায় এক বছর পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। স্ত্রীর পরিকল্পনায় খুন হন শরীফ উদ্দিন। নিহত শরীফের স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক আশিককে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে রহস্য। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবি পরিদর্শক ইকতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মধ্য ভদ্রঘাট এলাকার স্কুল শিক্ষক সাইফ উদ্দিন খানের ছেলে শরীফ উদ্দিন খান। তিনি কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিলেন। কর্মস্থলের পাশেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শরীফ। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় মামলা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবি পরিদর্শক মু. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফের পরিবারের সঙ্গে বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের চেঙ্গাচ্ছাল গ্রামের নাসিরুল আলমের ছেলে আশিকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময়ে আশিক ওই কর্মকর্তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা শরীফকে তাদের প্রেমের কাটা মনে করে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে শরীফের স্ত্রীর সহায়তায় আশিক ঘরে ঢুকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে শরীফের মাথায় আঘাত করে অচেতন করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে ডাকাতির ঘটনা সাজাতে নিহত শরীফের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে রেখে আশিক বের হয়ে যায়। এ সময় তার তিন সন্তানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে আসে। ইকতিয়ার উদ্দিন আরও বলেন, দীর্ঘদিন তদন্ত করে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নিহত শরীফের স্ত্রীকে সিরাজগঞ্জের বাড়ি থেকে ও আশিককে কুমিল্লা নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়।