কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মুন্সিকে সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০/৩০ অজ্ঞাত রেখে মামলা রুজু করেছে।
কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনি. জুডি. ম্যাজি. ৩নং আমলী আদালতে ২৬/৮/২০২০ তারিখে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে বিজ্ঞ আদালত ওসি তিতাসকে নির্দেশ করেন মামলা রুজু করার জন্য।
আদালতের নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার মামলাটি রুজু করেন তিতাস থানার ওসি। যার মামলা নং-১০ তাং ২৮/৮/২০২০ মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৬নং ভিটিকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার প্রতিদ্বন্ধী ছিল জাকির হোসেন মুন্সি।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনেও জাকির প্রার্খী হবেন বলে এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন এতে চেয়ারম্যান আবু মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে তাহার নির্দেশে ২নং আসামি চেয়ারম্যানের ছেলে জহিরের নেতৃত্বে ২১ আগষ্ট বিকালে উপজেলার তুলাকান্দি গ্রামের হানিফ সরকারের ছেলের সুন্নাতে খাৎনা অনুষ্ঠান থেকে প্রাইভেটকারযোগে একই এলাকার নারায়নপুর যাওয়ার পথে গাড়ির গতিরোধ করে জোরপূর্বক জাকিরকে নামিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে জাকিরকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে উপজেলার মানিকান্দিস্থ চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে নিয়ে মারধর করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে অন্য একজনে ফোন রিসিভ করে বলে চেয়ারম্যান সাহেব মিটিংয়ে আছে।